তানিয়া তাহা, সিএনবি নিউজ: তীব্র শীতে কাঁপছে দেশ। গেল ক’দিনের শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের সীমান্তবর্তী এলকাসহ বিভিন্ন জনপদ। বিশেষ করে শীতে খেটে খাওয়া মানুষ পোহাচ্ছেন সীমাহীন দূর্ভোগ। প্রচন্ড ঠান্ডায় জ¦র, ঠান্ডা, শ^াসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিতে নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। প্রতিনিয়তই ভীর করছেন স্থানীয় ক্লিনিক বা হাসপাতালে। । বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায় ছিন্নমূল এবং নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এই কনকনে শীতে দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন।
জানাগেছে, পৌষের শেষ ভাগে এসে শৈতপ্রবাহে দেশের উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাসে যুবুথুবু গ্রামীন জনগোষ্ঠি। উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া তার সাথে বৃষ্টির মতো ঝড়তে থাকা ঘন কুয়াশায় দেশের শেষ জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৭ ডিগ্রির মধ্যে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায়, ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতেকরে গ্রামীন জনগোষ্ঠির মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানামূখী সমস্যা। তারা বলছেন, গেল ক’দিনে দিনমুজুর থেকে শুরু করে খেটেখাওয়া মানুষরা কাজ করতে পারছেন না। কাজ না করার তারা নিদারুন কষ্টে দিন অতিবাহিত করছেন।
আবসার উদ্দিন নামে এক রিক্সা চালক জানান, গেল কয়েকদিন ধরে গাড়ি চালাতে পারছিনা কনকনে শীতের কারনে। কাজ না করতে পারায় বাসায় চাল, ডাল তেল কিনে নিতে পারছিনা। ঘরে বৌসহ তিনজন বাচ্চা রয়েছে আমার। গরীব বলে আমাদের দেখার কেউ নেই।
আমেনা আক্তার নামে এক খেটে খাওয়া নারী জানান, এই শীতে খেটে খাওয়া মানুষদের নি¤œ মাত্রায় জীবন যাপন করছে। আমরা শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছিনা। বাচ্চাদেরও শীতে স্কুল, কলেজে যেতে সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গেল ক’দিনে যেমনিভাবে তাপমাত্রা কমছে সেটা আরো কমতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, খুলনা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তত ২১ টি জেলায় বরফ ঝরা শীত অনুভূত হচ্ছে। এর সাথে অনবরত বইতে থাকা উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।