ফুটবলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্তা সংস্থা (ফিফা) থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) যে টাকা পেয়েছে, সে টাকা খরচে জালিয়াতি, আত্মসাত বা তছরুপের অভিযোগ অনুসন্ধানে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে।
বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর আবেদনের শুনানির পর রবিবার এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর চেম্বার আদালত। তবে সরকারের দেওয়া টাকা খরচে জালিয়াতি, আত্মসাত বা তছরুপের অভিযোগ অনুসনন্ধান চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।
সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আবদুল্লাহ আল মামুন খান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী মুরাদ রেজা বলেন, “হাইকোর্টের আদেশের একটা অংশে সীমিত সময়ের জন্য আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত স্টেটাসকো (স্থিতাবস্থা) দিয়েছেন চেম্বার আদালত। ফিফার দেওয়া অর্থের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানের আদেশটি স্থিতাবস্থায় থাকবে।
আগামী ৯ জুলাই সালাম মুর্শেদীর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে বলে জানান সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
বাফুফের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গত ৩ এপ্রিল দুদকে আবেদন করেন সুমন।
সে আবেদনের পর এ বিষয়ে সংস্থাটির কোনো পদক্ষেপ না থাকায় হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
সেই রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
ফিফা ও সরকারের কাছ থেকে তহবিলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন -বাফুফে যে টাকা পেয়েছে, সে টাকা খরচে জালিয়াতি, আত্মসাত বা তছরুপের মত দুর্নীতি হয়েছে কিনা, তা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয় অনতবর্তী আদেশে। দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদককে এ নির্দেশ দিয়ে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সহভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।