স্টাফ রিপোর্টার: টাকা, দেবীর স্বর্ণ ও আসবাবপত্র চুরি, মানুষকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার, সংখ্যালগুদের নাম ভাঙ্গিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিপন সরকার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয় সংখ্যালগু পরিবারের সদস্যরা এসকল অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা জনান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেবীর স্বর্ণ, টাকা, আসবাবপত্র চুরির ঘটনায় মামলা থানায় মামলা হয়েছে। ওই সময়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময়সভায় আলোচনা হয়। এ মামলায় শিপন সরকার লিখনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী শ্রী শ্রী পাগল নাথ জিউর ও শ্রী শ্রী রামসীতা মন্দিরের সেবায়েত ও মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস মোহন্ত। শুধু তাই নয় সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট ও হত্যার হুমকির অভিযোগও করা হয় ওই মামলায়।
শুধু তাই নয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে শিপন সরকার পুরো নারায়ণগঞ্জের সংখ্যালগুদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের কাছ থেকে নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারো ভাগ্যের উন্নয়ণ না হলেও শিপন সরকার লিখন তার ভাগ্যের উন্নয়ণ ঘটিয়েছেন। সংখ্যালগুদের নাম ব্যবহার করে মানুষকে হুমকি ও জিম্মি করে টাকা কামানোর ধান্ধায় নেমেছেন যিনি। যা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা।
সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীবাড়ি লক্ষীনারায়ণ কটন মিল এলাকার বাসিন্দা সম্প্রতি বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে আমাদের পূজা মন্ডপটি হেলে পড়ে যায়। এটাকে পুজি করে শিপন সরকার বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মলয় বর্মণ জানান, নীট কনসার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নাল হোসেন মোল্লা আমাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য দশ শতাংশ জমি দান করার ঘোষনা দিয়েছেন। এই জমি আমাদের মন্দিরের নামে ওয়াকফ করে দিবেন তিনি। কিন্তু শিপন সরকার নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করছেন। এতে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের তিনি মারাত্মকভাবে ক্ষতি করছেন। আমাদের মন্দির স্থাপন করে দিলে আমরা ঠিকমত উপাসনা করতে পারি সেই দাবি জানাই প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে।
রকি বর্মণ নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, আমরা না বললেও শিপন সরকার ইচ্ছে করে তার স্বার্থের জন্য আমাদের বিপদে ফেলতে চাইলে আমরা তার কোন কথাই মানিনা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা শিপন সরকারের হাত থেকে বাঁচতে চাই।
ইন্দ্রজিৎ রায় ও পিন্টু বর্মন নামে ওই এলাকার বাসিন্দা বলেন, নীট কনসার্ন গ্রুপতো আমাদের এক শতাংশ জমির পরিবর্তে দশ শতাংশ জমি, সাথে মন্দির বানিয়ে দিচ্ছে। পুরোহিতের বেতনও দিয়ে দিবে বলে তারা জানিয়েছেন। তাহলে শুধু শুধু কেন তাদের বিরুদ্ধে স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত শিপন সরকার লিখন। আমরা এই শিপন সরকার লিখনের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে নীট কনসার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নাল হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা ঘোষনা দিয়েছি, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনার জন্য মন্দির করে দিবো। সেই জন্য দশ শতাংশ জমিও ক্রয় করা হয়েছে। মন্দিরের পুরোহিতেরও বেতন ব্যবস্থা আমরাই করে দিবো। যেন ওনারা সুন্দরভাবে উপাসনা করতে পারে। তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণে সবসময় কাজ করবে নীট কনসার্ন গ্রুপ।


