শুক্রবার ,   ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ,   ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,  ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
Cnbnews

বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মেরাজ খুন

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রুপালি আবাসিক এলাকার ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজু ওরফে চুল্লারাজু ও রাজু ওরফে স্ট্যান্ড রাজু গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ষ্ট্যান্ড রাজু গ্রুপের সদস্য মেরাজ হোসেন প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন।

এঘটনায় আহত হয়েছেন আলামিন নামে এক ব্যক্তি। অন্যদিকে চুল্লারাজু গ্রুপের সদস্যরা নাদিম মিয়া নামে অপর ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে কুপিয়ে তাকে জখন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও প্রতক্ষদর্শীরা জানান, বন্দরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাজু ওরফে চুল্লা রাজুর নেতৃত্বে ২০/২৫জানের সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হকিষ্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ষ্ট্যান্ড রাজু গ্রুপের উপর হামলা চালায়। এসময় মেরাজ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেন।

পরে তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় আলামিন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করেন। আহত অবস্থায় আলামিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এঘটনার পর ষ্ট্যান্ড রাজু গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চুল্লা রাজু গ্রুপের সদস্য নাদিম মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।

তারা জানায় রুপালি আবাসিক এলাকার ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ইতিপূর্বে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দর থানায় দুই পক্ষের একাধিক মামলা রয়েছে। নিহত মেরাজ হোসেন বন্দর থানায় দায়েরকৃত এজহার ভুক্ত সাত নাম্বার আসামী। ষ্ট্যান্ড রাজুর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মিয়ার বাড়ি ও ওই এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির কায্যালয় হামলা ও ভাংচুর চালায় এ বাহিনী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মিয়া জানান, রুপালী আবাসিক এলাকায় ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে একাধিক গ্রুপ সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন। এই গ্রুপের মধ্যেই প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রতিপক্ষের লোকেরা। বিষয়টি আমি তাৎক্ষনিক বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মুঠোফোনে জানিয়েছি। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমার রাজনৈতিক ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকেরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে। আমি এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করছি।

এ বিষয়ে ষ্ট্যান্ড রাজু জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চুল্লারাজুর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার সহযোগী মেরাজ হোসেনকে কুপিয়ে নিহত করেছেন। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
অপরদিকে চুল্লারাজু জানান, ষ্ট্যান্ড রাজুর লোকের আমার সহযোগী নাদিম মিয়ার বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে আমার সহযোগী নাদিম মিয়াকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে লাশ দাফন করার পর নিহতের পরিবার থানায় মামরা দায়ের করবে। নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জানান, চুল্লা রাজু ও ষ্ট্যান্ড রাজুর মধ্যে ইতিমধ্যে একাধিকবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘষের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, মেরাজ হোসেন হত্যার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে খুব শিগ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে নিরিহ কোন লোক যেন এ মামলায় আসামী না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখা হবে।

Related posts

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

Bablu Hasan

জেলা জজসহ বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের দশ বিচারকের বদলি

Bablu Hasan

জোড় করে মানববন্ধন

Bablu Hasan