শুক্রবার ,   ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ,   ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,  ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
Cnbnews

সোনারগাঁয়ে আতংকের নাম ফয়সাল

Print Friendly, PDF & Email

সোনারগাঁ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পেরাব এলাকায় আতংকের নাম ফয়সাল মিয়া। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, লুটপাট, জমিদখল থেকে শুরু করে সকল অপরাধমুলক কাজের মূল হোতা এই ফয়সাল। সোনারগাঁয়ের পেরাব এলাকার সগির মেম্বারের ছেলে ফয়সাল মিয়া মারামারি, ভাংচুর ও কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা হিসেবে বেশ পরিচিত। অন্যের জমি দখল, দিনে দুপুরে ছিনতাই, লুটপাট তার নিত্য দিনের পেশা। প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসী ফয়সাল মিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকদফা লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পান নি এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে যায়, থানা পুলিশের নাকের ঢগায় সন্ত্রাসী ফয়সাল মিয়া একের পর এক সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে বেড়াচ্ছেন। দিনে দুপুরে ছিনতাই করে বেড়াচ্ছেন। লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে সর্বশান্ত করে। তার হাত থেকে নারী, শিশু, যুবক, বয়স্ক কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, গুম, খুন, হত্যা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, রাহাজানি সব কিছুই দিব্যি করে বেড়াচেছন ফয়সাল বাহিনী। তার বাহিনীর মধ্যে আরো কয়েকজন রয়েছে। তাদের দিয়ে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করে পুরো এলাকায় অপরাধের রাজক্ত কায়েক করছেন ফয়সাল বাহিনীর প্রধান সগির মেম্বারের ছেলে ফয়সাল মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পেরাব গ্রামের বাসিন্দা সগির হোসেন মেম্বারের ছেলে ফয়সাল মিয়া, এলাকায় জমি দখল, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এলাকাবাসীরা তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলেও তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। কারণ তার রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এই সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় প্রকাশ্যে বিভিন্ন অপকর্ম চালালেও কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার লিখিত অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না তারা।

শহিদুল্লাহ মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, ফয়সাল মিয়া এলাকায় একজন খুনী, সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু নামে পরিচিত। ওই এলাকায় অন্যের জমি দখল, রাতের আধারে ছিনতাই, লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ নানামূখী অপরাধ সংঘঠিত করে বেড়াচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে রুপগঞ্জ ও সেনারগাঁ থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। দ্রুত এই অপরাধীকে ধরতে প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি জানান তিনি।

ফয়সাল মিয়ার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন র‌্যাবের হাতে ক্রশ ফায়ারে নিহত হওয়া শতকত মিয়ার অন্যাতম সহযোগী মোহাম্মদ আলী, সুটার রিয়াজসহ একটি ৮/১০জনের সিন্ডিকেট। এই বাহিনীর প্রধান কাজই হচ্ছে সাধারণ মানুষকে জিম্মি বানিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া। এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাটের রাজক্ত কায়েম করা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, পেরাব এলাকার সগির মেম্বারের ছেলে ফয়সাল মিয়া ওই এলাকাতে ত্রাসের রাজক্ত কায়েম করেছে। একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করে ওই এলাকাকে করে তুলেছে অপরাধীদের জনপদ। তাই ফয়সাল বাহিনীর প্রধান ফয়সাল মিয়ার হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সবোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ চাইছেন এলাকাবাসী।
পেরাব এলাকার এক বাসিন্দা জানান, র‌্যাব, পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামী ফয়সাল একের পর এক এলাকায় অপরাধ করে বেড়াচ্ছেন। প্রশাসন দেখেও যেন দেখছে না। প্রতিদিন কারো না কারো বাড়ি লুটপাট করছেন এই বাহিনীর প্রধান ফয়সাল মিয়া। জোড় পূর্বক অন্যের জমি ছিনিয়ে নিচ্ছেন। অথচ থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না। তাই তার বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়সাল মিয়ার মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, কোন অপরাধীকেই ছাড় দিবে না প্রশাসন। ফয়সাল মিয়ার বিরুদ্ধে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১১ এর অধিদনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করা ওই ব্যক্তি যেই হউক না কেন তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। কোন ভাবেই এই সব অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

 

 

 

Related posts

শিপন সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

Bablu Hasan

কাঁচা মরিচের কেজি ২৮০ টাকা

Bablu Hasan

আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা মতিউর রহমান মতি

Bablu Hasan