শুক্রবার ,   ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ,   ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,  ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
Cnbnews

অসাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী বানিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলছেন মাইফুড বেকারীর মালিক বাবুল মিয়া

Print Friendly, PDF & Email

বিশেষ প্রতিনিধি: অধিক মুনাফার জন্য নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেলপাড়া পিলকুনি এলাকার বাবুল মিয়ার নামের এক অসাধু ব্যবসায়ী এলাকার হাজার হাজার মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুকিে ফেলছে। তার বিরুদ্ধে বেকারী জাতীয় পণ্য তৈরীতে রাসায়নিক বিষক্রিয়া মিশানোর অভিযোগ উঠেছে।

খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিক বিষক্রিয়া প্রয়োগের ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। মানহীন খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন কোমলমতি শিশু, বৃদ্ধ ও যুবকসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন বাবুল মিয়ার বেকারী ব্যবসার নিত্যনতুন কৌশল আর অধিক মুনাফার লোভে ভেজাল ও মানহীন পণ্য নারায়ণগঞ্জজুড়ে বিস্তার লাভ করছে। মাঝে মাঝে ভোক্তা অধিকার সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমে খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়টি জোড়ালো আবেদন হলেও তা বন্ধে এক প্রকার উদাসীন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ফলশ্রুতিতে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেক্টরের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে পারছেন না কেউই। তাই জনজীবনে সবচেয়ে চরম হুমকিতে রয়েছে মানবদেহের সুস্বাস্থ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের রাষ্টীয় সংবিধানের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদে খাদ্যকে মৌলিক উপকরণ ও ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে খাদ্যকে জীবনের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তকে কি? কে রাখে কার কথা। খাদ্যে ভেজালের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে, কি দোকন, কি বাজার, কি মার্কেট আর রেস্তেরা, হোটেল মোটেল সবখানেই যেন নৈরাজ্যের ঘনঘটা। তৈরি করা অথবা কাঁচা খাদ্য, কোনোটির ওপরই সাধারণ মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না।

ব্যবসায়ী বাবুল মিয়াদের মতো অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হলে বন্ধ হতে পারে খাদ্যে বিষক্রিয়া মিশানোর কারিগররা।

দেশের সর্বত্রই নিরাপদ খাদ্য শতভাগ নিশ্চিত করতে সরকারের বেধে দেওয়া আইন কঠোর হলে ভেজাল, মানহীন খাবার উৎপাদন কমে আসবে বলে ধারনা সচেতন মহলের। তবে তার বাস্তবরুপ কবে দেখতে সাধারণ মানুষ এমন প্রতিক্ষায় আমরা। গেল এক দশকে খাদ্যে ভেজালের হার কমেনি বরং ভিন্ন-অভিন্ন কৌশলে ভেজাল কারবারীরা খাদ্যে বিষক্রিয়া আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে। আইন থাকলেও প্রয়োগ না হওয়া, খাদ্য উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের মানের সুষ্ঠু তদারকি না থাকায় পণ্য উৎপাদক ও বিক্রেতারা শাস্তির তোয়াক্কা করছেননা। ফলে মানহীন ও ভেজাল খাদ্যের সয়লাব হয়েগেছে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ও রুপসা থেকে পাথুরিয়া এক লক্ষ আটচল্লিশ হাজার চারশত ষাট বর্গকিলোমিটারের বাংলাদেশে।
এখন থেকেই নিরাপদ খাদ্য সকলের জন্য নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারলে মানবদেহে রোগ-ব্যাধি আক্রান্তের হার ভবিষ্যতে আরো মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেছেন আগামী ২০ বছরের মধ্যে মানুষের মৃত্যুর ৭০ শতাংশ কারণ হয়ে দাড়াবে শুধুমাত্র ভেজাল খাদ্য। বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় ৫৯.৮৪% লোকের এবং শহর এলাকায় ১০.৮১% লোকের কৃষিখামার রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৯.১% এবং কৃষিখাতের মাধ্যমে ৪৮.১% মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।

বলা যায়, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের বেশির ভাগ খাদ্যদ্রব্যই আমরা উৎপাদন করে থাকি। বিশেষ কিছু খাদ্যদ্রব্য আমাদের আমদানি করতে হয় দেশের বাহির থেকে। নিজস্ব ও আমদানিকৃত কোনো খাদ্যদ্রব্যই ভেজালের আওতামুক্ত নয়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশসক মঞ্জরুল হাফিজ বলেন, মাইফুডসহ আরো যেসকল বেকারী রয়েছে যারা অসাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী তৈরী করে বাজারজাত করছেন তাদের বিরুদ্ধে খুবশিগ্রই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Related posts

বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় রাজি সরকার : আমু

Bablu Hasan

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হুইপদের সাক্ষাৎ

Bablu Hasan

দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

Bablu Hasan